গ্রীষ্মকালে বিয়ের আয়োজন

বাংলাদেশের বেশিরভাগ বিয়ের আয়োজন বলা যায় শীতকালেই হয়ে থাকে। শীতকালে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের বেশ কিছু আলাদা সুবিধা আছে দেখেই এমন সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। তবে গ্রীষ্মকালে বিয়ের আয়োজন যে একদমই হয় না তা কিন্তু না। গরমকালে বিয়ের আয়োজন করতে গিবে অবশ্য বেশ কিছু সমস্যার মুখোমুখি হওয়া লাগতে পারে। যেমন, গরম বেশি থাকার কারণে বিয়ের ভারি সাজগোজ নিয়ে বর-কনেকে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়তে হতে পারে। অনেক সময় এয়ার কন্ডিশনারেও বিয়ে বাড়ির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে না। কিন্তু তারপরও, বেশ কিছু সুবিধা গরমকালের বিয়েতেও কিন্তু পাওয়া যায়।

১। কম খরচ



গ্রীষ্মকালে বিয়ের আয়োজনের খরচ তুলনামূলক ভাবে অনেক কমে আসে। গ্রীষ্মকাল বিয়ের মৌসুম নয়। যে কারনে বিভিন্ন পণ্যের দাম শীতকালের তুলনায় অনেক কম থাকে। বিয়ের বর কনের কেনা-কাটা করতে গেলে এ সময় প্রচুর খরচ বাঁচানো সম্ভব। পণ্যের চাহিদা বেশ কম থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা বেশ কম লাভেই তাদের পণ্য বিক্রি করে দেন। শুধুমাত্র কেনা-কাটাই নয়, অন্যান্য আনুষাঙ্গিক খরচের ক্ষেত্রেও অনেক সাশ্রয়ী হওয়া যায়। বিয়ের ভেন্যু, ফটোগ্রাফি, ডেকোরেশন সব ধরনের সার্ভিসই শীতকালের থেকে অনেক কম মূল্যে পাওয়া সম্ভব এই মৌসুমে। তাই যদি আপনার বিয়ের অনুষ্ঠান কম খরচে সেরে ফেলার ইচ্ছা থাকে, তাহলে শীতকাল থেকে গ্রীষ্মকালই বেশি উপযোগী হবে।


[su_button url=”https://biyebazaar.com/dress” target=”blank” background=”#ea605f” size=”7″ icon=”icon: shopping-bag”]Wedding Dress Shopping For Bride & Groom[/su_button]


২। সহজে সার্ভিস খুঁজে পাওয়া



ইতিমধ্যেই বলা হয়েছে, গ্রীষ্মকালে বিয়ের সার্ভিসের চাহিদা বেশ কম থাকে। উল্টো শীতকালে এই চাহিদা অনেক বেশি থাকার কারণে ভেন্যু খালি পাওয়া, ডেকোরেটর, ফটোগ্রাফি সার্ভিস সময় মত খুঁজে পাওয়া অনেক কষ্টকর হতে পারে এমনও দেখা যায়, বিয়ের ভেন্যু দুই তিন মাস আগেও বুকিং দেয়ার জন্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গ্রীষ্মকালে এ ধরনের অসুবিধা হয় না তেমন একটা। চাহিদা কম থাকার কারণে সুবিধামত সময়ে ভেন্যু বুকিং দেয়া যায়। এতে করে বিয়ের প্লানিং করতেও বেশ সুবিধা হয়, এবং বর-কনে উভয়ের পরিবারের সুযোগ সুবিধার কথা মাথায় রেখে বিয়ের অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারন করা যায়।


৩। আপ্যায়নের বিচিত্রতা



গ্রীষ্মকালে বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথি আপ্যায়নে বেশ বিচিত্রতা আনা সম্ভব। যেমন ধরা যাক, গ্রীষ্মকালের মৌসুমী ফলমূল দিয়ে গায়ে-হলুদ জাতীয় অনুষ্ঠানে আসা অতিথিদের আপ্যায়ন করা যায়। আপ্যায়নে এমন বিচিত্রতা আনলে বিয়ের মূল অনুষ্ঠানই বেশ আলাদা ধরনের হয়ে থাকে, যা অনেক দিন পর্যন্ত মনে গেঁথে থাকে। আপনি অবশ্যই চাইবেন আপনার বিয়ের অনুষ্ঠানে বৈচিত্র আনার। তাছাড়া, মৌসুমী বিভিন্ন ফুলও গ্রীষ্মকালের কাছাকাছি সময়েই ফোটে। শুধু বিয়ের খাবার দাবারই নয়, ডেকোরেশনেও আনতে পারবেন বৈচিত্র।

৪। প্রস্তুতি সময়



বিয়ের দিন প্রস্তুতির জন্য বেশি সময় কিন্তু গ্রীষ্মকালেই পাওয়া যায়। সাধারণত মূল অনুষ্ঠান সন্ধ্যার পর হয়, এবং গ্রীষ্মকালে দিনের দৈর্ঘ্য বেশি হওয়ার কারণে মূল অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য অনেক বেশি সময় পাবেন। তাই বিয়ের অনুষ্ঠান যেন একদম পারফেক্ট হয় তা নিশ্চিত করা সহজতর হবে। তবে হ্যাঁ, মূল অনুষ্ঠানের দৈর্ঘ্য শীতকালের থেকে কিছুটা কম হতে পারে।


[su_button url=”https://biyebazaar.com/dress” target=”blank” background=”#ea605f” size=”7″ icon=”icon: shopping-bag”]Wedding Dress Shopping For Bride & Groom[/su_button]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Categories