বাংলাদেশী বিয়ে মানেই বিশাল আয়োজন। মূল অনুষ্ঠান, পানচিনি, গায়ে হলুদ, বৌ-ভাত এ-সমস্ত আয়োজন ছাড়া বাংলাদেশী বিয়ে কল্পনাই করা যায় না। এত অনুষ্ঠান আয়োজন করতে গেলে একশো রকম হ্যাপা পোহাতে হয়। তার ওপর, ভুল ভ্রান্তি হলে তো কথাই নেই, একদম মান-সম্মান নিয়ে টানাটানি! যাই হোক, একটু সচেতন ভাবে প্লান করে বিয়ের আয়োজন করলে ভুল এড়ানো বেশ সহজ। তার ওপর, সময়মত প্লান বানালে খরচও অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব হয়। তাই বিয়ের আয়োজনের খুঁটিনাটি নিয়ে আজকের পোস্ট।
১। কি কি অনুষ্ঠান রাখবেন ঠিক করুন


[su_button url=”https://biyebazaar.com” target=”blank” style=”3d” background=”#ea605f” size=”7″ icon=”icon: arrow-circle-o-right”]Get Free Wedding Consultancy[/su_button]
এটি একদম সর্বপ্রথম ধাপ। চাইলে আপনি বাংলাদেশী বিয়ের অনুষ্ঠানে ৮-৯টা আলাদা অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারেন। পানচিনি, গায়ে হলুদ, বৌ-ভাত এগুলো তো ছিলোই, এর সাথে বর্তমানে যোগ হয়েছে ব্রাইডাল শাওয়ার, মেহেদি নাইট এই ধরনের কিছু নতুন ট্রেন্ড। যা’ই হোক, আপনার সামর্থ্য এবং ইচ্ছা অনুযায়ী কি কি অনুষ্ঠান করবেন তার আগে থেকে একটা তালিকা করুন। ভিন্ন ভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজনটাও ভিন্ন হয়। তাই কোন অনুষ্ঠান আয়োজন করতে কি কি বাজার-সদাই লাগবে তা বুঝতে গেলে এই তালিকাটা আপনাকে করতেই হবে।
২। অতিথিদের তালিকা বানান


[su_button url=”https://biyebazaar.com” target=”blank” style=”3d” background=”#ea605f” size=”7″ icon=”icon: arrow-circle-o-right”]Get Free Wedding Consultancy[/su_button]
যে কোন অনুষ্ঠান করতে গেলেই অতিথি তালিকা বানানো উচিত, কিন্তু কেন যেন বাংলাদেশী বিয়ের অনুষ্ঠানে হিসাব ছাড়াই মানুষকে নিমন্ত্রণ করা হয়। বিয়ের কোন অনুষ্ঠানে কোন কোন অতিথি আসবে তা আগে থেকে হিসাব থাকলে প্রচুর বাজে খরচ এড়ানো সম্ভব হয়। বেশিরভাগ সময়েই বিয়ের অনুষ্ঠানগুলোয় প্রচুর খাবার নষ্ট হয়, কারণ প্রয়োজনের অতিরিক্ত অনেক খাবার রান্না করা হয়। এর কারন অতিথির সংখ্যার হিসাব না থাকা। তাছাড়া, অতিথির সংখ্যার হিসাব থাকলে খাবার ছাড়াও অনুষ্ঠানের অন্যান্য আনুসাঙ্গিক খরচও বোঝা যায়।
৩। সময়মত ভেন্যু বুক করুন

[su_button url=”https://biyebazaar.com” target=”blank” style=”3d” background=”#ea605f” size=”7″ icon=”icon: arrow-circle-o-right”]Get Free Wedding Consultancy[/su_button]
যদি শীতকালে বিয়ের আয়োজনের চিন্তা-ভাবনা থাকে, তাহলেই সেরেছে। এ-সময়ে বিয়ের ভেন্যু, অর্থাৎ কনভেনশন হল, কমিউনিটি সেন্টার ইত্যাদির চাহিদা অনেক বেশি থাকে। তাই আগে-ভাগে যদি বুক না করেন, তাহলে আপনার সুবিধামতন তারিখে কোনভাবেই ভেন্যু খালি পাবেন না। সাধারণত ছুটির দিনেই বিয়ের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে, তাই চাহিদাও থাকে অনেক বেশি।
৪। শপিং আগে ভাগে সেরে নিন

[su_button url=”https://biyebazaar.com” target=”blank” style=”3d” background=”#ea605f” size=”7″ icon=”icon: arrow-circle-o-right”]Wedding Online Shop[/su_button]
বিয়ের শপিং -এর প্রচুর হ্যাপা। কিনতে হয় অনেক জিনিস। তাই কেনাকাটা করতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনকিছুর কথা ভুলে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। যেমন ধরা যাক, বর তার শেরওয়ানী, পায়জামা, নাগরা কিনলেন, কিন্তু পাগড়ির কথা বেমালুম ভুলে গেলেন। এমন হলে একদম শেষ মুহূর্তে গিয়ে তড়িঘড়ি করে কেনাকাটা করা হয়, যা মনপুতঃ হয় না। তাই বিয়ের শপিং অনুষ্ঠানের বেশ আগে থেকেই শুরু করুন। তা-ছাড়া, অফ সিজনে শপিং করলে দামও পড়বে কম।
৫। ওয়েডিং প্ল্যানারের সাহায্য নিন

[su_button url=”https://biyebazaar.com” target=”blank” style=”3d” background=”#ea605f” size=”7″ icon=”icon: arrow-circle-o-right”]Get Free Wedding Consultancy[/su_button]

অনেকেই ওয়েডিং প্ল্যানারের সাহায্য নিতে চান, কারণ খরচ অনেক বেড়ে যাবে মনে হওয়ায়। কিন্তু ওয়েডিং প্ল্যানার যে বিয়ের অনুষ্ঠানের খরচ অনেক বেশি বাড়িয়ে দেবে, তা মনে করা ঠিক না। অনেক ক্ষেত্রে উল্টোটাই ঘটতে দেখা যায়। ওয়েডিং প্ল্যানাররা পুরো অনুষ্ঠানের খরচ একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের মধ্যে সেরে ফেলতে পারদর্শী। এমনিতে বিয়ের খরচ কখনোই বাজেটের মধ্যে থাকে না, নিত্য নতুন খরচের জায়গা দেখা দেয়ায়। কিন্তু ওয়েডিং প্ল্যানাররা প্রফেশনাল হওয়ায় সবধরনের খরচের হিসাবই ঠিকমত করে তা বাজেটের মধ্যে রাখতে পারেন। আর যদি আপনি একদম বিনামূল্যে ওয়েডিং কনসালট্যান্সী চান, তাহলে তো বিয়ে-বাজার আছেই!
আপনি কখনো বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছেন? আয়োজন করতে গিয়ে কোন সমস্যায় পড়েছেন কি? তার সমাধান বের করেছেন কিভাবে? বা সুন্দরভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনে আপনার কোন পরামর্শ থাকলে তা শেয়ার করুন আমাদের সাথে!
[su_button url=”https://biyebazaar.com” target=”blank” style=”3d” background=”#ea605f” size=”7″ icon=”icon: arrow-circle-o-right”]Get Free Wedding Consultancy[/su_button]