ভারতীয় উপমহাদেশের বিয়েগুলো বেশ অন্যধরনের হয়ে থাকে। পৃথিবীর অন্য কোন জায়গায় বিয়েতে এত বেশি অনুষ্ঠান এবং এত জাঁকজমক দেখা যায় না বললেই চলে। তাই হয়ত উপমহাদেশের বিয়ের খরচ হয় লাগামছাড়া।

[su_button url=”https://biyebazaar.com” target=”blank” style=”3d” background=”#ea605f” size=”7″ icon=”icon: arrow-circle-o-right”]Get Free Wedding Consultancy[/su_button]

বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। অনেকেই এমন প্রথা বেশ পছন্দই করেন। ধুমধাম করে বিয়ের উৎসব না করা হলে সামাজিক মর্যাদাও থাকে না বলে অনেকে মনে করে থাকেন।
কিন্তু বিয়ের আয়োজন করতে গিয়ে অতিরিক্ত খরচ করে ফেলাটা কখনোই কাম্য নয়। বিয়েতে বেশি খরচ করার কারণে অনেক দম্পতিই তাদের সংসার জীবন শুরু করতে গিয়ে হিমশিম খান। তাই বিয়েটা যতটা সম্ভব কম খরচে সেরে ফেলা উচিত। কোর্ট-ম্যারেজে তেমন কোন খরচই নেই বলতে গেলে। কিন্তু যেহেতু বিয়ের খরচ কমানোর কথা আপনি চিন্তা করছেন, তাই ধরেই নিচ্ছি যে আপনি বিয়ের অনুষ্ঠানের কথাই ভাবছেন। বিয়েতে খরচ কমানোর কিছু উপায় নিয়েই বিয়ে-বাজার ব্লগের আজকের এই পোস্ট।
১। অফ-সিজনে কেনাকাটা করুন

[su_button url=”https://biyebazaar.com” target=”blank” style=”3d” background=”#ea605f” size=”7″ icon=”icon: arrow-circle-o-right”]Wedding Shopping[/su_button]
বাংলাদেশের বেশিরভাগ বিয়ে শীতকালে হয়ে থাকে। বড়সড় জমায়েত বেশ আরামদায়কভাবে আয়োজন করা যায় শীতকালে। আপনিও যদি শীতকালেই বিয়ে করেন, তাহলে ধরেই নিন যে খরচ অনেক বেশিই হবে। যেহেতু এ-সময়ে বিয়ের বিভিন্ন পণ্য এবং সরঞ্জামাদির চাহিদা অনেক বেশি থাকে, তাই দামও বেড়ে যায়। বিয়েটা যখনই করেন না কেন, বিয়ের প্লান কিন্তু আগেই করা হয়ে যায়। তাই খরচ কমানোর জন্য অফ-সিজনে, অর্থাৎ আগেভাগে কিছু কেনাকাটা সেরে নিন। গরমকালে পোশাক, গয়না, বিয়ের জুতো ইত্যাদির খরচ বেশ কম থাকে। তাই তখনই কেনাকাটা করুন।
২। কিছু আয়োজন বাসায়ই করুন

বাংলাদেশের বিয়েতে অনেক ধরনের আয়োজন থাকে। এনগেজমেন্ট, ওলিমা, গায়ে হলুদ, মেহেদি সন্ধ্যা, বৌভাত, বিয়ের মূল অনুষ্ঠান এছাড়াও আরো অনেক ধরনের আয়োজন থাকে এখনকার বিয়েগুলোয়। যদি সম্ভব হয়, এনগেজমেন্ট, গায়ে হলুদ বা মেহেদি সন্ধ্যার মত আয়োজনগুলো বাসায়ই সেরে ফেলুন। আলাদা করে কনভেনশন হল অথবা কোন রেস্টুরেন্টের ভাড়ার পয়সা গুনতে হবে না। ঠিকমত প্লান করতে পারলে আপনার বাসাকেই সুন্দর করে সাজিয়ে বেশ ভালো অনুষ্ঠান করা সম্ভব।
[su_button url=”https://biyebazaar.com” target=”blank” style=”3d” background=”#ea605f” size=”7″ icon=”icon: arrow-circle-o-right”]Get Free Wedding Consultancy[/su_button]
৩। কাছের মানুষকে দাওয়াত দিন

শুনতে যেমনই লাগুক, আমাদের দেশের মানুষ বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রচুর অপ্রয়োজনীয় মানুষকে দাওয়াত দেয়। বিয়ের অনুষ্ঠানের বেশিরভাগ মানুষই এমন থাকে, যাদেরকে বর-কনে কেউই কোনদিন দেখেই নি। আপনার আত্মীয়-স্বজন, অথবা বন্ধু-বান্ধবকে দাওয়াত করে বিয়ে খাওয়ানোর ইচ্ছা আপনার থাকতেই পারে, এবং সামর্থ্য থাকলে তা করতেও বাঁধা নেই। কিন্তু সাধ্যের বাইরে চলে যাওয়ার পরও শুধুমাত্র সামাজিক মর্যাদা রক্ষার খাতিরে দুনিয়াসুদ্ধো মানুষকে দাওয়াত দেয়ার কোনই মানে হয় না। দাওয়াতীর লিস্ট ছোট করুন, এবং শুধু তাদেরই দাওয়াত দিন যারা আপনার অনেক কাছের।
৪। এক জায়গা থেকে কেনাকাটা করুন

[su_button url=”https://biyebazaar.com” target=”blank” style=”3d” background=”#ea605f” size=”7″ icon=”icon: arrow-circle-o-right”]Wedding Shopping[/su_button]
যদি আপনি একই দোকান থেকে একসাথে অনেক জিনিস কেনেন, তাহলে নিঃসন্দেহেই মোট দামের ওপর কিছু ছাড় পাবেন। হয়তো একই দোকানে আপনার পছন্দসই সবকিছুই পাবেন না। তবে চেষ্টা করুন এমন দোকানই খুঁজতে, যেখানে একসাথে অনেককিছুই পাওয়া যায়। আপনি চাইলে বিয়ে বাজার ওয়েবসাইটি ঘুরে আসতে পারেন। এখানে দেশ-বিদেশের অনেক বিয়ে সংক্রান্ত পণ্য আপনি কিনতে পারবেন। এবং সাথে ফ্রী কনসালট্যান্সীও পাবেন।
৫। ওয়েডিং-প্ল্যানারের সাহায্য নিন

অনেকেই মনে করে থাকেন ওয়েডিং-প্ল্যানারের কাছে গেলে বিয়ের খরচ বাড়বে। আদতে কিন্তু এর উল্টোই হবে। ওয়েডিং প্ল্যানাররা পেশাদারিত্বের সাথে বিয়ের আয়োজন করে থাকেন। তারা ভালোমতই জানেন বিয়ের কোথায় কি খরচ হয়, এবং কিভাবে তা কমানো যায়। তাছাড়া, ওয়েডিং প্ল্যানারদের সাথে অনেক সার্ভিস প্রোভাইডারদের যোগাযোগও থাকে। কমদামে তারা ডেকোরেটর, কেটারিং সার্ভিস ইত্যাদির ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন, যা আপনার বিয়ের খরচ কমিয়ে আনবে।
[su_button url=”https://biyebazaar.com” target=”blank” style=”3d” background=”#ea605f” size=”7″ icon=”icon: arrow-circle-o-right”]Get Free Wedding Consultancy[/su_button]