বিয়ের অনুষ্ঠানের হ্যাপা সামাল দেয়া বেশ কঠিনই বলা যায়। তার ওপর, বাংলাদেশের বিয়েতে যেই পরিমাণের আয়োজন আর অনুষ্ঠান, তাতে করে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে পারলেই অনেকে রীতিমত হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। কিন্তু নতুন সংসার সাজানোর কাজ শুরু হয়ে যায় একদম বিয়ের পরপরই। এ সময় বেশিরভাগ দম্পতিই কিছুটা কনফিউশনে ভোগেন। কোত্থেকে কি কিনবেন, কিভাবে বাসা সাজাবেন, খরচ কেমন পড়বে ইত্যাদি অনেক প্রশ্ন জাগে। জাগাই স্বাভাবিক।
সবার আগেই নব-দম্পতি দু’জন মিলেই ঠিক করা উচিত যে কোন কোন জিনিস একদম না কিনলেই নয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেক কিছুই গিফট পাওয়া যায়। গিফটের লিস্ট দেখে ঠিক করুন যে কি কি কেনার দরকার নেই। এরপর দু’জন মিলেই নিজেদের সামর্থ্যের কথা মাথায় রেখে বাজেট তৈরী করুন। প্রতিজ্ঞা করুন যে কোন অবস্থাতেই এই বাজেটের বাইরে যাওয়া যাবে না।
বিলাসী পণ্যের দিকে প্রথমের নজর দেবেন না। আগে ঘরের কাজকর্ম সব একদম পারফেক্টভাবে করার জন্য যা যা দরকার তার লিস্ট দিয়েই শুরু করুন। প্রথমেই দরকার হবে আসবাবপত্র। শোবার ঘরের খাট, বসার ঘরের সোফা সেট, খাবার ঘরের টেবিল, কাপড় রাখার ওয়ার্ডরোব, ড্রেসিং টেবিল, আলমারি, শো-কেস ইত্যাদি দরকার হবেই। চাইলে আসবাব বানিয়েও নিতে পারেন, অথবা শো-রুম থেকেও কিনতে পারেন। শো-রুম থেকে কিনলে অবশ্য দাম বেশি পড়বে। বাজেট কম থাকলে জাহাজের পুরনো আসবাব পত্রও কিনতে পারেন।
সুন্দর করে ঘর সাজানোর জন্য অনেক বেশি খরচ করতে হবে তা কিন্তু নয়। বাহারি রঙের কুশন, সোফার কভার, ইত্যাদি বেশ কম দামেই পাবেন। চেষ্টা করুন একটু উজ্জ্বল রঙের পর্দা কিনতে। যদি সম্ভব হয় তাহলে একটু নকশা করা ওয়াল-পেপার লাগাতে পারেন দেয়ালে।
সুন্দর করে ঘর সাজানোর জন্য অনেক বেশি খরচ করতে হবে তা কিন্তু নয়। বাহারি রঙের কুশন, সোফার কভার, ইত্যাদি বেশ কম দামেই পাবেন। চেষ্টা করুন একটু উজ্জ্বল রঙের পর্দা কিনতে। যদি সম্ভব হয় তাহলে একটু নকশা করা ওয়াল-পেপার লাগাতে পারেন দেয়ালে। রান্না-করার জিনিসপত্র কিন্তু একদমই আবশ্যক। ওভেন, ব্লেন্ডার, রাইস কুকার, টোস্টার ইত্যাদি কিনে নিন। রান্নার ঝামেলা অনেকটাই কমে আসবে। ও হ্যাঁ, একটা ফ্রিজ কিনতে কিন্তু ভুলবেন না একদমই। রান্নার চুলা, রান্নাঘরের থালা বাসন কিনতে তো হবেই।
[su_button url=”https://biyebazaar.com” target=”blank” background=”#ea605f” size=”7″ icon=”icon: shopping-bag”]Wedding Gift[/su_button]
বাথরুমের মগ, বালতি, সোপকেস ইত্যাদিও একদমই দরকারি জিনিস। এর সাথে প্রতি রুমের জন্য অন্তত একটা করে পাপোশ কিনুন। সম্ভব হলে ঘরের পর্দার রঙ এবং ডিজাইনের সাথে মিলিয়ে পাপোশ কিনুন। দেখতে বেশ ভালো লাগবে তাতে। সবগুলো রুমের জন্য আরো লাগবে একটা করে সিলিং ফ্যান। সিলিং ফ্যান লাগানো কিন্তু বেশ ঝামেলার কাজ। এ জন্য আলাদা করে ইলেকট্রিশিয়ান আনা লাগতে পারে। সবগুলো রুমের জন্য লাইটি, ডিম-লাইট এসব তো লাগবে অবশ্যই।
বারান্দায় টবে কিছু গাছ রাখতে পারেন। এতে ঘরের সৌন্দর্য বেশ বাড়বে। তাছাড়া, সবুজ পরিবেশের কাছে থাকলে মন-মেজাজও বেশ ফুরফুরে থাকবে সবসময়। এমন বারান্দায় বিকালে বসে চা-খেতে দু’জনেরই বেশ লাগবে। ফুল গাছ রাখলে তো কথাই নেই। তবে গাছ রাখলে কিন্তু নিয়মিত তার যত্ন নিতে হবে। ছোট ছোট কিছু শো-পিস, অথবা বাঁধাই করা ছবি দিয়ে ঘরের সৌন্দর্য আরো বাড়াতে পারেন। এজন্যও খুব বেশি খরচ হবে না। সুন্দর ডিজাইনের ফুলদানি, সুগন্ধি মোম, লণ্ঠন ইত্যাদি কিনতে পারবেন বেশ অল্প দামেই। ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে পারলে সংসারের শুরুটাও সুন্দর হবে, যা ভবিষ্যতে অবশ্যই কাজে দেবে।
[su_button url=”https://biyebazaar.com” target=”blank” background=”#ea605f” size=”7″ icon=”icon: shopping-bag”]Wedding Shop[/su_button]